ভিক্ষার ঝুলি!
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকের হাতে ভিক্ষার ঝুলি!
অধ্যাপকের হাতে ভিক্ষার ঝুলি!
সকাল বেলা রাজা হায়রে, ফকির সন্ধ্যা বেলা।’ স্রষ্টার লীলা-খেলা এমনই। আর এর প্রমাণ মিলল ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপকের জীবনে। ওই অধ্যাপকের নাম রাজা সিং। প্রথম জীবনে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। সেখানে অধ্যাপনা করেছেন বলে তার দাবি। কিন্তু নিয়তির নির্মম পরিহাসে পরবর্তী সময়ে তাকে বসবাস করতে হচ্ছে ভারতের দিল্লির রেল স্টেশন, বস্তি ও রাস্তায়।
জানা গেছে, ১৯৬০ সালের গোড়ার দিকে ভাইয়ের ডাকে সাড়া দিয়ে অক্সফোর্ড ছেড়ে ভারতে ফিরে আসেন রাজা সিং। দুই ভাই মিলে শুরু করেন মোটর গাড়ির বিভিন্ন যন্ত্রাংশের ব্যবসা। ভালোভাবেই চলছিল ব্যবসা। মুনাফার মুখ দেখেছিলেন। কিন্তু কিছুদিন পর তার ভাই মারা যান। ফলে ব্যবসা পরিচালনায় ব্যর্থ হয়ে দেউলিয়া হয়ে যান তিনি।
এদিকে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে যে সন্তানদের তিনি বিদেশে লেখাপড়া করতে পাঠিয়েছিলেন তারাও প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর অসহায় বাবার খোঁজখবর নেয়া বন্ধ করে দেয়।সব হারিয়ে রাজা সিংয়ের ঠাঁই হয় দিল্লির রাস্তায়। চলতে থাকে যাযাবরের জীবন। আজ বস্তিতে তো কাল রেল স্টেশনে। কখনো ভিক্ষা করে আবার কখনো মানুষের টুকিটাকি কাজ করে যা পান তাই দিয়ে তিনি টেনে চলেছেন ব্যর্থ জীবনের বোঝা।
রাজা সিং এখন বয়সের ভারে ন্যুব্জ। ঠিকমতো চলাফেরা করতে পারেন না। চলতি মাসের ২১ তারিখ তার এই অসহায় অবস্থার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেন দিল্লিতে বসবাসকারী অবিনাশ সিং। কয়েকদিনের মধ্যে প্রায় পাঁচ হাজারবার শেয়ার হয় ভিডিওটি।
ফেসবুকে প্রচুর লোক তাকে সাহায্য করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। বর্তমানে একটি বৃদ্ধাশ্রমে রয়েছেন ছিয়াত্তর বছর বয়সী এই ভাগ্যাহত শিক্ষক।