৫ই মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি
করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে বাংলাদেশে চলমান সাধারণ ছুটি ৫ই মে পর্যন্ত বাড়িয়ে আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
তবে অভ্যন্তরীণভাবে সাধারণ ছুটি বাড়ালেও খুলে দেয়া হচ্ছে স্থলবন্দরগুলো।
এছাড়া ‘পরিস্থিতি বিবেচনা করে’ পরবর্তীতে শিল্প কারখানা খোলা ও গণপরিবহণ ‘পর্যায়ক্রমে’ উন্মুক্ত করা হবে বলে জানানো হয়।
নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “ছুটি থাকলেও সমুদ্র ও নৌ বন্দরগুলোর কার্যক্রম চলমান ছিল, তা আগের মতই চলবে। আর স্থলবন্দরগুলো খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।”
“স্থলবন্দরগুলো যাত্রী চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে। আর পণ্য পারাপার আগে যেভাবে চলমান ছিল সেভাবেই চলবে।”
এর আগে জারি করা নির্দেশনার মত এবারেও জরুরি কাজের সাথে সম্পৃক্ত অফিস খোলা রাখার সিদ্ধান্ত দেয়া হয়েছে।
তবে কৃষির সাথে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান যেন খোলা রাখা হয় এবং কৃষিজ পণ্য পরিবহণ যেন বাধাগ্রস্থ না হয়, সেবিষয়টিতে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
পাশাপাশি চিকিৎসার সাথে নিয়োজিত চিকিৎসক ও কর্মী ও ওষুধসহ চিকিৎসা সরঞ্জাম বহনকারী যানবাহন ও গণমাধ্যমকর্মীরা এই ছুটির আওতার বাইরে থাকবে।
এছাড়া ওষুধশিল্প, উৎপাদন ও রপ্তানিমুখী শিল্পখাতে কল কারখানাগুলোকে শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করে কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে।
এর মধ্যে সীমিত আকারে ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু রাখার জন্য নির্দেশনা জারি করা হবে বলেও জানানো হয়।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকানোর লক্ষ্যে ২৬শে মার্চ থেকে বাংলাদেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়।
পরে তিন দফায় ছুটির মেয়াদ বাড়িয়ে ২৫শে এপ্রিল পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়।