যেসব নিষেধাজ্ঞা থাকবে জার্মানির খেলোয়াড়দের ওপর
রাশিয়া বিশ্বকাপে শিষ্যদের ওপর কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছেন জার্মানির কোচ জোয়াকিম লো।
জোয়াকিম লো-কে কুসংস্কারাচ্ছন্ন কিংবা বাতিকগ্রস্ত বলা যায় না। তবে কিছু ব্যাপারে তিনি ভীষণ কড়া ‘হেডমাস্টার’। বিশ্বকাপ এলে তো কথাই নেই। মাঠের ভেতরে কিংবা বাইরে শিষ্যদের পা থেকে মাথা পর্যন্ত তাঁর নিয়ন্ত্রণে। তবে লোর বিধিনিষেধ শিষ্যরা বাধ্যগত ছাত্রের মতো মানতে শুরু করলে তিনি নিয়ম পাল্টাতেও কার্পণ্য করেন না!
গত বিশ্বকাপের কথাই ধরুন। খেলোয়াড়দের পরিবার নিয়ে একই হোটেলে থাকার অনুমতি দিয়েছিলেন লো। প্রেমিকাদের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য হয়েছিল। এই স্বাধীনতাটুকুর বিনিময়ে লোর হাতে বিশ্বকাপ তুলে দিয়েছিলেন শোয়েনস্টেইগার-গোটশেরা। কিন্তু এবারের বিশ্বকাপে আগের সেই অবস্থান থেকে সরে এসেছেন জার্মান কোচ। রাশিয়ায় পা রাখার পর থেকে পরিবার কিংবা প্রেমিকা, কারও সঙ্গেই সাক্ষাতের সুযোগ পাবেন না মুলার-নয়্যাররা।
ইতালিয়ান সংবাদমাধ্যম ‘লা গাজেত্তা দেল্লো’ জানিয়েছে, ইতালিতে জার্মান দলের অনুশীলন ক্যাম্প চলাকালে স্বজনদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পাবেন খেলোয়াড়েরা। কিন্তু রাশিয়ায় জার্মান দল পা রাখার পর থেকে নিয়মটি উল্টে যাবে। পরিবার কিংবা প্রেমিকার কাছ থেকে দূরে থাকতে হবে জার্মান দলকে। হোটেলে স্বজনদের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি নেই ওজিল-মুলারদের।
মুঠোফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রেও উল্টো নীতি অবলম্বন করেছেন লো। ২০১০ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ৪-০ গোলে জয়ের আগ পর্যন্ত খেলোয়াড়দের মুঠোফোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন লো। এবার অবশ্য মুঠোফোন ব্যবহারে সীমিত স্বাধীনতা পাচ্ছেন তাঁর শিষ্যরা। মুঠোফোনে তাঁরা কথা বলতে পারবেন কিন্তু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে দূরে থাকতে হবে। এমনকি ছবিও শেয়ার করা যাবে না। হোটেলে কিংবা ড্রেসিংরুমে ছবি তোলার ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন লো।
অ্যালকোহলের ওপরও তিল পরিমাণ ছাড় দিয়েছেন জার্মানির এই কোচ। রাতের খাবার ও বিছানায় যাওয়ার আগে এক গ্লাস বিয়ার খাওয়ার অনুমতি পেয়েছে জার্মান দল।