ভারতে করোনা আক্রান্ত ৭০ হাজার পেরুলো
ভারতে কোনো কিছুতেই বাগ মানছে না করোনা ভাইরাসের হানা। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। দেশটিতে ৭০,০০০ পেরিয়ে গেলো মহামারী ভাইরাসটিতে আক্রান্তের সংখ্যা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ পরিসংখ্যান মতে, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ভারতে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৭০ হাজার ৭৫৬ জন। প্রাণঘাতী ভাইরাসে এ পর্যন্ত মারা গেছেন মোট ২ হাজার ২৯৩ জন মানুষ। এ পরিস্থিতিতে ফের বাড়ানো হতে পারে লকডাউনের মেয়াদ। খবর এনডিটিভি ও টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় মঙ্গলবার সকালে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে জানিয়েছে, সোমবার ২৪ ঘণ্টাতেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৮৭ জন। এদিন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৬০৪ জন। অন্যদিকে করোনা আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়েছেন মোট ২২ হাজার ৪৫৫ জন।
এদিকে দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্ত রাজ্য মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতির ক্রমেই অবনতি হচ্ছে। রাজ্যটিতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৩ হাজার ৪০১ জন। সোমবার থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ওই রাজ্যে নতুন করে ১ হাজার ২৩০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মহারাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে মোট ৮৬৮ জনের।
মহারাষ্ট্রের পরেই কোভিড- ১৯ সংক্রমণের দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে গুজরাট। এ রাজ্যে এখন পর্যন্ত ৮ হাজার ৫৪১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৫১৩ জন মারা গেছেন।
করোনার সংক্রমণ রুখতে দেশে আগামী ১৭ মে পর্যন্ত রয়েছে লকডাউন। সরকারি সূত্রের ইঙ্গিত, ফের বাড়ানো হতে পারে লকডাউনের মেয়াদ। তবে এবার যদি লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোও হয়, তবে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ নয়- এমন অঞ্চলে কিছু কিছু বিধিনিষেধ আরও লাঘব করা হতে পারে।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে আগামী ১৫ মের মধ্যে সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের কাছে পরামর্শ চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। তবে সোমবারের বৈঠকেই বেশিরভাগ রাজ্য লকডাউন বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে। যদিও রাজ্যগুলো বলেছে, জেলাভিত্তিক রেড জোন ঘোষণার পরিবর্তে যে অঞ্চলে সংক্রমণ প্রবণতা বেশি দেখা যাচ্ছে, সেই এলাকাকে কনটেইনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হোক। তাহলে জেলার অন্যান্য অঞ্চলে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক কাজকর্ম শুরু করা সম্ভব।
এদিকে মঙ্গলবার থেকেই কিছু কিছু যাত্রীবাহী ট্রেন পরিষেবা শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে ভারতীয় রেলের পক্ষ থেকে ট্রেনের নতুন সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে। আপাতত ১৫ জোড়া ট্রেন চলবে, অর্থাৎ আপ-ডাউন মিলিয়ে ৩০ টি ট্রেন চলার কথা। নয়াদিল্লি রেলস্টেশন থেকে ট্রেনগুলো হাওড়া, মুম্বাই, বেঙ্গালুরু ও চেন্নাই সহ অন্যান্য শহরের মধ্যে চলাচল করবে।