ফাইনালে শিষ্যদের ‘শান্ত, আত্মবিশ্বাসী ও মনোযোগী’ থাকার পরামর্শ
ফাইনালে শিষ্যদের ‘শান্ত, আত্মবিশ্বাসী ও মনোযোগী’ থাকার পরামর্শ। ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ফাইনাল সামনে রেখে শিষ্যদের ‘শান্ত, আত্মবিশ্বাসী ও মনোযোগী’ থাকার পরামর্শ দিয়েছেন ফ্রান্সের কোচ দিদিয়ের দেশম।
“যতটা পেরেছি আমরা দলকে সেরাভাবে প্রস্তুত করেছি। আমরা অবশ্যই শান্ত, আত্মবিশ্বাসী এবং মনোযোগী থাকব-ফাইনালের জন্য ছেলেদের তৈরি করতে আমরা এই তিনটি শব্দে দৃষ্টি দিয়েছি।” দুই বছর আগে পর্তুগালের কাছে হেরে যাওয়া দলটি থেকে বতর্মান দলটি অনেক আলাদা বলেও মনে করেন দেশম। তবে ক্রোয়েশিয়ার চেয়ে অভিজ্ঞতায় একটু পিছিয়ে থাকার বিষয়টিও জানা আছে তার।
“ইউরো ফাইনালের পর থেকে আমি ১৪ জনকে দলে টেনেছি। রাশিয়ায় এসে তারা বড় টুর্নামেন্টে খেলা সম্পর্কে প্রথম শিখেছে। তাই অবশ্যই অভিজ্ঞতায় ঘাটতি আছে কিন্তু মানে কমতি নেই।” “দারুণ ক্লাবে খেলার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন খেলোয়াড় ক্রোয়েশিয়ার আছে এবং দীর্ঘদিন ধরে তাদের দলটি একসঙ্গে আছে কিন্তু এখানে যেসব দলের মুখোমুখি আমরা হয়েছি তারা আরও অভিজ্ঞ ছিল।”
২০১৬ সালের ইউরোতে খেলা বর্তমান দলের নয়জনকে রোববারের ফাইনালে শুরুর একাদশে রাখতে পারেন দেশম। দুই বছর আগের হারের অভিজ্ঞতা থেকে তারা শিখেছে বলেও মনে করেন তিনি। ১৯৯৮ সালে ফ্রান্সের প্রথম বিশ্বকাপ জয়ে অধিনায়ক ছিলেন দেশম। রোববার শিরোপা জিতলে ব্রাজিলের মারিও জাগালো ও জার্মানির ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ারের পর খেলোয়াড় ও কোচ হিসেবে বিশ্বকাপ জয়ের কীর্তি গড়বেন তিনি।
বিশ্বকাপ খেলা আর ডাগআউটে দাঁড়িয়ে খেলা দেখা দুটি ভিন্নরকম অভিজ্ঞতা বলেও জানান দেশম। “যখন আপনি একজন খেলোয়াড় তখন আপনি একজন অভিনেতা কিন্তু একজন কোচ হয়ে আপনি খেলোয়াড়দের মাধ্যমে কাজ করবেন। আমি দলের জন্য কাজ করছি কিন্তু ম্যাচটা খেলতে হবে তাদের।”
“খেলোয়াড় হলে আপনি শারীরিক শক্তি ব্যয় করবেন কিন্তু একজন কোচের জন্য এটা মানসিক এবং আপনি ভিন্নরকম অবসাদ অনুভব করবেন।” ২০১৬ সালের ইউরোর সেমি-ফাইনালে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন জার্মানিকে হারিয়ে ফ্রান্স অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল। দেশম জানালেন, তার দলের সবাই জানে তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে কিছু বিষয় ম্যাচের ফল নির্ণায়ক হতে পারে।
“এখানে কোনো উন্মাদনা নেই। আমরা সবাই সন্তুষ্ট। কেননা আমরা এই মঞ্চে এসেছি এবং এটাই বছরের সবচেয়ে বড় ম্যাচ।” “কিন্তু এর বাইরে ম্যাচের ফলই বলবে আমরা ঠিকঠাক কাজ করেছি কি-না। সব কোচই জানেন এ ধরনের ম্যাচ খুব ক্ষুদ্র কারণে জেতা যেতে পারে এবং কখনও কখনও খুব অযৌক্তিক কারণেও জেতা যেতে পারে।”