নিহত ৭
নীলফামারীতে কালবৈশাখীতে মা-মেয়েসহ নিহত ৭
মা-মেয়েসহ ৭ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে
নীলফামারীতে কালবৈশাখীর হানায় ডোমার, ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার রাত সোয়া নয়টা থেকে মাত্র আধা-ঘণ্টার ঝড়ে গাছ ও ঘরচাপা পড়ে মা-মেয়েসহ ৭ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে।
নিহতরা হলেন- ডোমার উপজেলার ভোগডাবুড়ি গ্রামের গৃহবধূ খোদেজা বেগম (৪০), কেতকিবাড়ী ইউনিয়নের আফিজার রহমান (৪০), মৌজা গোমনাতী গ্রামের আব্দুল গনি (৪০), খানপাড়া গ্রামের জমিরুল ইসলাম (১২), জলঢাকা উপজেলার পূর্ব শিমুলবাড়ি গ্রামের আশিকুর রহমান (২২), ধর্মপাল খুচিমাদা গ্রামের গৃহবধূূ সুমাইয়া আক্তার (২৮) ও তার শিশুকন্যা পরীমনি (৩ মাস)।
নীলফামারী জেলা প্রশাসক খালেদ রহিম জানিয়েছেন, গত রাতে কালবৈশাখী ঝড়ে জেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করা হচ্ছে। তালিকা হাতে পেলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে। তারপর প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহায়তার করা হবে। তিনি আজ শুক্রবার সকাল থেকে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করছেন।
দমকলকর্মী ও স্থানীয়রা জানায়, ঝড়ে বড় বড় গাছ ভেঙে বিভিন্ন সড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল। রাতভর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গাছ সরানোর পর শুক্রবার সকাল থেকে যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু হয়েছে। তবে এখনো বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
স্থানীয় কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, কাল বৈশাখীতে উঠতি বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ভুট্টা, বাদাম ও মরিচ ক্ষেতেরও ক্ষতি হয়েছে।
এ ছাড়া মৌসুমী ফল আম, লিচু ঝরে পড়ে গেছে। অসংখ্য ঘরবাড়ি ও গাছপালা উপড়ে পড়েছে।