করোনাভাইরাস: সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চীনের সাফল্য নিয়ে কেন সন্দেহ তৈরি হচ্ছে?
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার পর প্রথমবারের মতো চীন মঙ্গলবার জানিয়েছে যে, দেশটিতে নতুন করে কোন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু হয়নি। কিন্তু বিবিসির রবিন ব্রান্ট বলছেন, এসব পরিসংখ্যান এবং রোগটির প্রাদুর্ভাব নিয়ে চীনের বর্ণনার ব্যাপারে প্রশ্ন রয়েছে।
গত কয়েকমাস ধরে প্রতিদিন ভোর তিনটায় চীনের ভাইরাসের বিস্তারের তথ্য-উপাত্ত বিশ্বের কাছে তুলে ধরেন দেশটির কর্মকর্তারা। সাতই এপ্রিল দেশটি জানিয়েছে, তাদের মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৮১, ৭৪০ জন আর মারা গেছেন ৩,৩৩১জন।
ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল দেশটি যেভাবে এটির নিয়ন্ত্রণ করেছে, তা বিশ্বব্যাপী প্রশংসা কুড়িয়েছে।
‘দ্রুততার সঙ্গে ভাইরাসটি শনাক্ত করা’ এবং ‘স্বচ্ছতা বজায় রাখার’ জন্য চীনকে সাধুবাদ জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রোস অ্যাধনম ঘেব্রেইয়েসাস।
কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এসব উষ্ণ অভিনন্দন সত্ত্বেও চীনের সরকারি এসব পরিসংখ্যান এবং সাফল্যের দাবি নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে।
গত সপ্তাহে ব্রিটিশ সরকারের জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী মাইকেল গভ বিবিসিকে বলেছেন, “ভাইরাসের সংক্রমণ, প্রকৃতি বা মাত্রা নিয়ে চীনের বেশ কিছু প্রতিবেদন পরিষ্কার নয়।”
গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও বলেছেন, চীনের বলা মৃত্যু এবং সংক্রমণের সংখ্যা দেখে মনে হচ্ছে যেন হালকা করে বলা হয়েছে।
বেশ কিছুদিন ধরেই মহামারির বিষয়ে সঠিক তথ্য তুলে না ধরার জন্য চীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে আসছেন মার্কিন আইন প্রণেতারা।
বিশ্বব্যাপী রোগের সংক্রমণ যতো বাড়ছে, যেভাবে যুক্তরাষ্ট্র এর মধ্যেই সংক্রমণ ও মৃত্যুর দিক থেকে চীনকে ছাড়িয়ে গেছে, তখন চীনের কাছ থেকে এই শিক্ষা নিতে চাইছে যে চীন কীভাবে তাদের পরিস্থিতি এতো নিয়ন্ত্রণে রাখল।
কিন্তু এই উদ্বেগও বাড়ছে যে, চীন তাদের সংক্রমণ ও মৃত্যুর তথ্যের ব্যাপারে পুরোপুরি সততা প্রকাশ করেনি।
এই সন্দেহের পেছনে অতীতের কিছু কারণ রয়েছে- আর দেশটির স্পষ্টতার অভাবও দায়ী, যা অবিশ্বাস তৈরি করে।