নারী কনস্টেবলের সঙ্গে পরকীয়া, স্ত্রীকে হত্যা!
বরগুনার আমতলীতে নারী পুলিশ কনস্টেবলের সঙ্গে পরকীয়ার জেরে নিজ স্ত্রীকে গলায় রশি পেঁচিয়ে হত্যা করেছেন বলে স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। রোববার উপজেলার গোছখালী গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানায়, পটুয়াখালী সদর উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের সুশীল চন্দ্র মিস্ত্রির মেয়ে বনশ্রীর সঙ্গে গোছখালী গ্রামের অবিরাম হাওলাদারের ছেলে পলাশের ২০১২ সালে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে এক সন্তান রয়েছে।
নিহত বনশ্রীর বাবা সুশীল চন্দ্র মিস্ত্রির অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে যৌতুকসহ বিভিন্ন অজুহাতে স্ত্রী বনশ্রীকে নির্যাতন করে আসছিল পলাশ। গত এক বছর ধরে পলাশ কলাপাড়া উপজেলার সোনাতলা গ্রামের এক নারী পুলিশ কনস্টেবলের সঙ্গে পরকীয়া করে আসছে। এ ঘটনা জানাজানি হলে পলাশকে তার স্ত্রী বনশ্রী প্রতিহতের চেষ্টা করে। এ ঘটনায় প্রায়ই পলাশ বনশ্রীকে মারধর করত।
গত বুধবার বনশ্রী জানতে পারে পলাশ ওই মেয়েকে আদালতের মাধ্যমে বিয়ে করেছে। পলাশ তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে মেনে নেয়ার জন্য বনশ্রীকে চাপ দেয়। এতে রাজি হয়নি বনশ্রী। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে আগামীকাল সোমবার শালিস বৈঠক বসার কথা ছিল।
শনিবার রাতে পলাশ ফুটবল খেলা দেখার কথা বলে ঘর থেকে বের হয়ে যায়। বনশ্রী তার শিশু পুত্রকে নিয়ে ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। ফুটবল খেলা দেখা শেষে ঘরে ফিরে পরিকল্পিতভাবে বনশ্রীকে গলায় রশি পেঁচিয়ে হত্যা করে পলাশ।
নিহত বনশ্রীর পরিবারের অভিযোগ, পলাশ তার পরিবারের লোকজন ও প্রেমিকা প্রিয়াঙ্কা পরিকল্পিতভাবে বনশ্রীর গলায় রশি পেঁচিয়ে হত্যা করেছে। হত্যাকাণ্ড ধামাচাপা দেয়ার জন্য গলায় কাপড় জড়িয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে তারা। এ ঘটনার পরপর স্বামী পলাশ ও তার পরিবারের লোকজন পালিয়ে যায়। পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে পাঠায়।
এদিকে, ওই মেয়ের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তাই তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
আমতলী থানা পুলিশের ওসি মো. আলাউদ্দিন মিলন বলেন, হত্যা না আত্মহত্যা স্পষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে আসল রহস্য জানা যাবে।