fbpx

হতাশ!

ঠাকুরগাঁওয়ে আমের বাগানিরা হতাশ!

মো:জুনাইদ কবির, ঠাকুরগাঁওজেলা প্র‌তি‌নি‌ধিঃ লাভেল আশায় করিলাম এবার আমের বাগান কিন্তু এবার আমের ফলন বেশি হওয়ায় বাজারে ধষ। গত বছরের তুলনায় এ বছর ঠাকুরগাঁওয়ে আমের দাম তুলনামূলকভাবে কম হওয়ায় হতাশ এ এলাকার আম চাষিরা।
গত বছর আম চাষ করে লাভের মুখ দেখলেও এ বছর লোকসান গুনতে হবে বলে আশঙ্কা করছেন আম চাষিরা। আর এর কারণ হিসেবে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা কালিবাড়ী বাজারে জজকোর্ট চত্তরে ঠকুরগাঁও রোড বাহারী রকমের আমের বানিজ্যালয় গড়ে উঠেছে। এভাবে চলতে থাকলে আগামীবার অনেক চাষি আম চাষ থেকে নিজেদের গুটিয়ে নিবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। সরেজমিনে আম চাষিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত বছরের তুলনায় আবহাওয়া অনেকটা অনুকূলে থাকায় এ বছর প্রচুর পরিমাণ গাছে মুকুল আসে। সেই সাথে প্রাকৃতিকভাবে গাছের পরিচর্যা করায় গাছে আশানুরূপ আমের ফলন ভালহয়।
তবে গত মৌসুমের মতো আম চাষে ফরমালিনের ব্যবহার ঠেকাতে উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক কঠোর অবস্থানের ফলে চাষিরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে জানিয়েছেন। কারণ এ বছর তীব্র তাপদাহ ও গরম আবহাওয়ার কারণে সময়ের আগে গাছেই আম পাকতে শুরু করে। কিন্তু উপজেলা কৃষি অফিস থেকে আম চাষিদের পহেলা জুনের আগে এ উপজেলায় আম গাছ থেকে আম পাড়া ও বাজারজাতকরণের উপর বাজারজাদ শুরু করা হয়।আর পহেলা জুনের পর সব আম চাষি এক সঙ্গে গাছ থেকে আম নামিয়ে বাজারজাত করতে শুরু করে প্রচুর আম আমদানির কারণে বাজারে আমের দাম নেমে যায়। ফলে আম চাষি ও বিক্রেতাদের লাভের জায়গায় ক্ষতির মুখ দেখতে হচ্ছে। ঠাকুরগাঁও উপজেলার মোঃ ইব্রাহিম আম চাষি জানান, এবারের গরমে তাপমাত্রা বেশি থাকায় সব ধরনের আম সময়ের আগেই পেকে গেছে।
কিন্তু, বাজারে বিক্রি কম পবিত্র ঈদুল ফিতর শেষে হওয়ায় তা বাজারে বর্তমান প্রচুর আমদানি। এ কারণে অনেক আম কম দাম হওয়ায় গাছেই ফেটে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আর এক সঙ্গে সব আম চাষি বাজারে আম তোলায় দাম অর্ধেকে নেমে এসেছে। সোমবার সকাল ১০ টায় ঠাকুরগাঁও কালিবাড়ী বাজারে আম বাজার সহ কয়েকটি বাজার ঘুরে আম বিক্রেতা আমিনুল ইসলাম এর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত বছর সূর্য পূরী আম বিক্রি হয় ১২০০ শত টাকা থেকে ১৬০০ টাকা,কিন্তু এবার ৩০০ শত থেকে ৪০০ শত টাকা বিক্রি হচ্ছে। হিম সাগর আম মণ প্রতি বিক্রি হয়েছে ২০০০ থেকে ২৫০০ টাকা করে। যা এ বছর বিক্রি হচ্ছে ৮০০ শত থেকে ১০০০ টাকায়। গোপালভোগ গত বছর ১০০০ থেকে ১৬০০ টাকা, এ বছর ৮০০ থেকে ১০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ল্যাংড়া গত বছর ২০০০ থেকে ৩০০০ টাকা, এ বছর ১০০০ থেকে ১২০০ পর্যন্ত। গুটি গত বছর ৫০০ থেকে ১৩০০, এবারে ২০০ থেকে ৪০০ পর্যন্ত। আর এ বছর যেন আমচাষিরা ফরমালিন মিশাতে না পারেন সে কারণেই পহেলা জুন পর্যন্ত আমপাড়া ও বাজারে বিক্রি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন ও কৃষি বিভাগ। এ ব্যাপারে ঠাকুরগাঁও উপজেলা কৃষি অফিসার আনিসুর রহমান বলেন এখানে তুলনামূলকভাবে আমের দাম অনেক এবার কম। বাজারজাতের সমস্যার কারণে ভালো ফলন হলেও দাম পাচ্ছেন না চাষিরা।
তিনি আরো জানান, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে চাষিদের আম চাষের জন্য উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে এবং মাঠপর্যায়ে কর্মকর্তারাও সব সময় পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। বিষয়গুলো নিয়ে ঠাকুরগাঁও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আসলাম মোল্লার সাতে কথা বললে তিনি জানান, ফরমালিনবিহীন আম জনগণকে খাওয়ানোর জন্য উপজেলা প্রশাসন এ সিদ্ধান্ত এবার নিবে।
এ বছর তা কোনো ব্যবসায়ী ফরমালিনবিহীন আম জনগণকে খাওয়ানোর জন্য এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *