নতুন প্রধান কোচ চন্দিকা হাথুরুসিংহের অধীনে শ্রীলঙ্কার শুরুটা হল ১২ রানের হার দিয়ে
প্রতিপক্ষ বদলের সঙ্গে যেন বদলে গেল জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশের বিপক্ষে দাঁড়াতেই না পারা দলটি হারিয়ে দিল শ্রীলঙ্কাকে। বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে রোমাঞ্চকর ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দিচ্ছিলেন থিসারা পেরেরা। এই অলাউন্ডারকে থামিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজে নিজেদের প্রথম জয় তুলে নিয়েছে গ্রায়েম ক্রিমারের দল।
বুধবার শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের শততম ওয়ানডেতে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটে ২৯০ রান করে জিম্বাবুয়ে। জবাবে ৪৮ ওভার ১ বলে ২৭৮ রানে গুটিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা।
নিজেদের প্রথম ম্যাচে মন্থর উইকেটে বাংলাদেশের বোলারদের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানরা। ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে লঙ্কান বোলাররা তাদের খুব একটা পরীক্ষায় ফেলতে পারেননি। তবে বাজে শটে উইকেট ছুড়ে দলকে আরও বড় সংগ্রহ এনে দেওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করেন ব্রেন্ডন টেইলর-সলোমন মিরেরা।
পেসার সুরঙ্গা লাকমলের সঙ্গে অফ স্পিনার আকিলা দনাঞ্জয়াকে দিয়ে বোলিং শুরু করে শ্রীলঙ্কা। কেউই পারেননি তেমন একটা প্রভাব ফেলতে। তরতর করে এগিয়ে যায় জিম্বাবুয়ের ইনিংস। ত্রয়োদশ ওভারে উদ্বোধনী জুটিতে ৭৫ রান তুলে ফেলেন মাসাকাদজা-মিরে।
বল ব্যাটে আসছিল দারুণ। দুই ওপেনার খেলছিলেন মাঝ ব্যাটে। হঠাৎ করেই যেন ধৈর্য হারিয়ে ফেলেন মিরে। ছটফট করতে থাকা ওপেনার ফিরেন বাজে এক শটে। ত্রয়োদশ ওভারের বলে মিরেকে বিদায় করে জিম্বাবুয়ের শুরুর জুটি ভাঙেন থিসারা পেরেরা।
টানা দ্বিতীয় ম্যাচে শূন্য রানে আউট হতে হতে বেঁচে যান ক্রেইগ আরভিন। শূন্য রানে জীবন পাওয়া এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ২ রান করে।
শের-ই-বাংলার উদ্বোধনী ম্যাচে খেলা দুই ক্রিকেটার মাসাকাদজা ও টেইলর খেলছেন মাঠের শততম ওয়ানডেতে। দুই ব্যাটসম্যানই ছুড়ে আসেন উইকেট।
টেইলরের সঙ্গে মাসাকাদজার ৫৭ রানের জুটি ভাঙেন আসেলা গুনারত্নে। এই অলরাউন্ডারকে উড়ানোর চেষ্টায় মিড অনে ধরা পড়েন ৮৩ বলে ১০টি চারে ৭৩ রান করা মাসাকাদজা।
থিসারার ভেতরে ঢোকা বল কাট করতে গিয়ে স্টাম্পে টেনে বোল্ড হয়ে ফিরেন টেইলর। ১১ রানে রিভিউ নিয়ে বাঁচা এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান চারটি চারে করেন ৩৪ রান।
রাজার সঙ্গে ৫৭ রানের জুটি গড়েন ছক্কায় শুরু ম্যালকম ওয়ালার। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান ফিরেন আরেকটি ছক্কার চেষ্টায়। গুনারত্নের নিচু ফুলটসে ডিপ স্কয়ার লেগ তার ক্যাচ মুঠোয় নেন উপুল থারাঙ্গা।
পিটার মুরের সাথে ৬১ রানের আরেকটি জুটিতে দলকে তিনশ রানের কাছাকাছি নিয়ে যান টানা দ্বিতীয় ফিফটি পাওয়া রাজা। এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান অপরাজিত থাকেন ৮১ রানে। তার ৬৭ বলের ইনিংসে ৮টি চারের পাশে একটি ছক্কা।
৩৭ রানে ৩ উইকেট নিয়ে শ্রীলঙ্কার সেরা বোলার গুনারত্নে। থিসারা ২ উইকেট নেন ৪৩ রানে।